Banshra facilitates the ‘dusting’ of JKnagar : প্রায় অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেল শিশু বাগান ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত শিশু বাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাব দ্বারা আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫। সোমবার, অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজোর শুভদিনে শিল্পাঞ্চলের ফুটবলপ্রেমী সমর্থকেরা উল্লাসে মেতে উঠলো। এদিন শিশু বাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জে কে নগর অল আদিবাসী ইউনাইটেড ক্লাব এবং বাঁশড়া এফসি। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাঁশড়া এফসি ২-০ গোলে জয়লাভ করে জে কে নগর অল আদিবাসী ইউনাইটেডকে পরাস্ত করে ফাইনালে প্রবেশ করল। এই দুর্দান্ত জয়ের মূল নায়ক ছিলেন বাঁশড়ার গোলরক্ষক রোহিত কড়া, যিনি বাজপাখির মত ক্ষিপ্রতার সাথে জে কে নগরের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করেন। তার অসাধারণ গোলরক্ষকের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন মাঠে উপস্থিত হাজারো সমর্থক।

এই প্রতিযোগিতায় দুই দলের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় দ্বন্দ্ব দেখা যায়, কারণ সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে উভয় দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছিল। সেমিফাইনালের দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জে কে নগরের খেলোয়াড়রা একের পর এক আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রোহিত কড়ার দুর্ভেদ্য রক্ষণদেয়ালে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে বাঁশড়ার আক্রমণাত্মক স্ট্রাইকার জয়ন্ত সরকার একটি দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেয়, এবং দ্বিতীয়ার্ধে তারই সতীর্থ আরিফুল হক আরও একটি গোল করে জয়ের সিলমোহর দেন। ম্যাচটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন রানীগঞ্জ রেফারি এসোসিয়েশনের অভিজ্ঞ জাজেরা, যাদের ন্যায়বিচারপূর্ণ রেফারিং খেলা পরিচালনায় শৃঙ্খলা বজায় রাখে।
ম্যাচ শেষে রোহিত কড়াকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার প্রদান করা হয়, যেখানে তিনি বলেন, “এই জয় শুধু আমার নয়, পুরো দলের প্রচেষ্টার ফল। আমরা ফাইনালে আরও ভালো খেলার জন্য প্রস্তুত।” অন্যদিকে, জে কে নগরের অধিনায়ক হেমন্ত মুর্মু হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা আমাদের সেরা খেলাটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, তবে ভাগ্য আজ আমাদের পক্ষে ছিল না। ফাইনালে বাঁশড়াকে শুভকামনা জানাই।”
এই প্রতিযোগিতা স্থানীয় সমাজের জন্য শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া ইভেন্ট নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, যেখানে মানুষেরা খেলার মাধ্যমে নিজেদের একত্রিত করে। শিশু বাগান ফুটবল ময়দানে সরস্বতী পূজোর আনন্দের সাথে ফুটবল উৎসবের উল্লাস মিশে গিয়েছিল। ফাইনালে বাঁশড়ার প্রতিপক্ষ হবে প্রতিযোগিতার হট ফেভারিট কদমডাঙ্গা, যা আরও এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গোটা শিল্পাঞ্চল এখন এই মহারণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
প্রসঙ্গত, এদিন দুর্ধর্ষ ম্যাচ মুখোমুখি হয়েছিলেন শিল্পাঞ্চলের দুটি স্বনামধন্য দল। শুধু তাই না, এই প্রতিযোগিতায় এই দুই দল সারা প্রতিযোগিতা জুড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল শিল্পাঞ্চলের ফুটবলপ্রেমী সমর্থকদের কাছে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলায় মূলত জে কে নগরের মুহুর মুহূর্ আক্রমণকে প্রতিহত করল বাশড়া দলের গোলরক্ষক রোহিত কড়া। মূলত রোহিত কড়ার বাজ পাখির মত গোলরক্ষকের ভূমিকা দেখে উচ্ছ্বসিত মাঠে উপস্থিত ফুটবলপ্রেমী সমর্থকরা। তবে এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করলেন রানীগঞ্জ রেফারি এসোসিয়েশনের জাজেরা। মূলত, বাঁশড়া দলের গোলরক্ষকের বদলতে ফাইনালে প্রবেশ করল বাশড়া। ম্যাচের শেষে গোলরক্ষক রোহিত কড়ার হতে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচের বাঁশরা জয় লাভ করে ফাইনালে প্রবেশ করল, ফাইনালে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ কদম ডাঙ্গা। রানীগঞ্জ থেকে কৃত্তিবাস রুইদাস এর রিপোর্ট খবর বাংলা