The inauguration of the 45 feet Saraswati Puja in Durgapur বাণী বন্দনায় ব্যস্ত নবীন থেকে প্রবীণ সকলেই। এবছর সরস্বতী পুজো দুদিন ধরে পালিত হবে, দোসরা ও তেসরা ফেব্রুয়ারি পঞ্জিকা অনুযায়ী পঞ্চমী তিথিতে। এরই মাঝে দুর্গাপুরের বিজনের ইস্পাত পল্লী নেতাজী ক্লাবের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো রাজ্যের সর্ববৃহৎ সরস্বতী প্রতিমার, যার উচ্চতা ৪৫ ফুট।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগম বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদব, রাখি তেওয়ারি, প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত, দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বাধীন ঘোষ, এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি রাজু সিং।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়, পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। ইস্পাত পল্লী নেতাজী ক্লাবের এই সরস্বতী পুজো এবছর ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করল, আর প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিমার আকার ও শৈলীতে থাকছে বিশেষত্ব। প্রতিমার উচ্চতা ৪৫ ফুট ছাড়িয়ে গিয়ে আকাশ ছোঁয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, সাথে মানানসই মণ্ডপের নকশা এবং চমৎকার আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নিচ্ছে।
পুজোর কয়েকটি দিন ধরে চলবে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় শিল্পী থেকে শুরু করে বিশিষ্ট শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবেন। শিশুদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের খেলা-ধুলার আয়োজন এবং বসেছে একটি জমকালো মেলাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, “প্রতিবছর আমরা এই পুজোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। এবারের প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দেখে সত্যিই মুগ্ধ।” পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে ক্লাবের সদস্যরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। ক্লাবের সভাপতি জানিয়েছেন, “এই বিশাল প্রতিমা তৈরি করতে প্রায় দুই মাস লেগেছে। ২০ জন শিল্পী দিনরাত কাজ করেছেন।
” দুর্গাপুরের এই পুজো শুধু শহরের নয়, আশেপাশের জেলার মানুষকেও আকর্ষণ করে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিশাল প্রতিমার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পুজোর আয়োজন যেমন দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয়, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। দোকানপাট, খাবারের স্টল, খেলার মেলা সবকিছুতেই ব্যবসার রমরমা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্লাবের তরফেও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে। দুর্গাপুরের এই সরস্বতী পুজো যেন এক মিলনমেলা, যেখানে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হয় বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ নিতে।