A pair of elephants reached Bankura from Birbhum: বীরভূম থেকে বাঁকুড়ায় পৌঁছাল দুটি দাঁতাল হাতি। স্থানীয় মানুষ ও বন দফতরের জন্য এটি ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ দিন। শুক্রবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের সীমানা পেরিয়ে হাতি দুটো বীরভূমের মোরগ্রাম সড়কে জয়দেব মোড়ের কাছে চলে আসে। স্থানীয় কৃষকদের নজরে আসে এই বিশাল প্রাণীগুলি। তাদের উপস্থিতি শুধু গ্রামবাসীর জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করেনি, পাশাপাশি সেখানে চলতে থাকা জয়দেবের মেলা ঘিরেও বন দফতরের চিন্তা বাড়িয়ে দেয়।হাতি দুটিকে সামাল দেওয়ার জন্য বন দফতরের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হাতি দুটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘুমপাড়ানি গুলির ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘ চেষ্টার পর হাতি দুটিকে কাবু করে লরিতে তোলা সম্ভব হয়।
বন দফতরের মতে, হাতি দুটিকে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছে তাদের জল খাওয়ানো হয় এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম দেওয়ার পর ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামে এই হাতিগুলিকে বন দফতরের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানা গেছে।স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন, “হাতি দুটো হঠাৎ করেই আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ে। আমরা ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। তবে বন দফতর খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং বড় কোনো ক্ষতি হতে দেয়নি।”
বন দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ নিই। হাতিগুলিকে যাতে কোনোভাবেই বিরক্ত করা না হয় এবং গ্রামবাসীদেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, সেই দিকটি আমরা নিশ্চিত করেছি।”বীরভূম এবং বাঁকুড়ার এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় যে বন্যপ্রাণী ও মানুষের সহাবস্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বন দফতরের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। হাতি দুটির যাত্রা ঝাড়গ্রামে শেষ হলেও এই ঘটনার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বিশেষত, গ্রামাঞ্চলে মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এই ঘটনার জেরে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং বন দফতরের দক্ষতার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। গ্রামবাসীদেরও এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আরও বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।