Cricket football tide across the district : পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান ২ ব্লকের উৎসব মাঠে বৃহস্পতিবার একটি ছোটদের লীগ কাম নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা হলো। ছয়টি দলের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য দারুণ উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বর্ধমান ক্রিকেট ক্লাব ও রাজনন্দিনী ক্রিকেট একাডেমি। রাজনন্দিনী প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান সংগ্রহ করে। তবে বর্ধমান ক্রিকেট ক্লাবের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ ১৬ ওভারেই ৬ উইকেটে প্রয়োজনীয় রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়।
দ্বিতীয় ম্যাচে বড়শুল ক্রিকেট একাডেমি ও দক্ষিণ দামোদর ক্রিকেট একাডেমির মধ্যে একটি উচ্চস্কোরিং ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বড়শুল একাডেমির আহরণ মন্ডলের বিধ্বংসী ১৩৭ রানের ইনিংস দক্ষিণ দামোদর একাডেমির জয়ের আশা একেবারে ভেঙে দেয়। ২০ ওভারে ২৫০ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করতে গিয়ে দক্ষিণ দামোদর মাত্র ৮৭ রানেই গুটিয়ে যায়। বড়শুল ক্রিকেট একাডেমি ১৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে, যা স্থানীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে, শিল্পাঞ্চলের ফুটবল মাঠগুলোতেও চলছে ফুটবল প্রতিযোগিতার জোয়ার। শিশু বাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের উদ্যোগে নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে জে কে নগর অল আদিবাসী ইউনাইটেড বিবেক একাদশকে ৩-১ ব্যবধানে পরাস্ত করে। সীমান্ত, সুমিত ও সুশানের অসাধারণ খেলা বিবেক একাদশের ডিফেন্সকে একেবারে ধূলিসাৎ করে দেয়। রেফারির ভূমিকায় রানীগঞ্জ রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের জাজেরা ছিলেন। ম্যাচ দেখার জন্য ভিড় জমেছিল গোটা শিল্পাঞ্চলের ফুটবলপ্রেমী সমর্থকদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই ধরনের প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করে না, বরং জেলার ক্রীড়া সংস্কৃতিকেও উজ্জীবিত করে। বড়শুল একাডেমির কোচের বক্তব্য, “আমাদের লক্ষ্য তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ করে দেওয়া। এই প্রতিযোগিতাগুলো তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।” অন্যদিকে, ফুটবলপ্রেমী বাপ্পা রায় বলেন, “আমাদের এলাকায় ফুটবলের প্রতি মানুষের উন্মাদনা বরাবরই ছিল। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্টের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।”
ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মতে, এমন প্রতিযোগিতাগুলো জেলা স্তরে খেলাধুলার একটি শক্তিশালী মঞ্চ তৈরি করতে পারে। ভবিষ্যতে এখান থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও ক্লাবগুলোর সমন্বয়ে এই উদ্যোগগুলো আরও শক্তিশালী করা গেলে, পূর্ব বর্ধমান জেলা ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।