Babas with strange names appear at Mahakumbh :-মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫, যা ১৪৪ বছর পর পূর্ণ যোগের এক বিরল সুযোগ এনে দিয়েছে, প্রয়াগরাজে আয়োজনের সঙ্গে সারা দেশজুড়ে পুণ্যার্থীদের হৃদয় ছুঁয়েছে। এই মহামেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ গঙ্গা, যমুনা এবং অধুনা বিলুপ্ত সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করে পাপ মোচনের আশা রাখেন। এই বিশাল জমায়েত কেবল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির এক জীবন্ত উদাহরণ। তবে মহাকুম্ভের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন কিছু অদ্ভুত নামধারী সাধু-সন্ত, যাঁরা তাঁদের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য আলাদা পরিচিতি লাভ করেছেন।
এবারের মেলায় এসেছেন অ্যাম্বাসাডর বাবা, যিনি সর্বদাই ১৯৭২ সালের একটি পুরনো অ্যাম্বাসাডর গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। এই গাড়ি গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর সঙ্গী এবং সাধনার অংশ। রয়েছেন পরিবেশ বাবা, যিনি সনাতন ধর্মের বার্তা ছড়িয়ে বলেন, প্রত্যেকের উচিত দুটি গাছ রোপণ করা—একটি অক্সিজেনের জন্য, একটি শেষকৃত্যের জন্য। এ ছাড়াও রয়েছেন রাবড়ি বাবা, যিনি ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে রাবড়ি বিতরণ করেন। রুদ্রাক্ষ বাবা, যাঁর শরীরে ১১ হাজার রুদ্রাক্ষ রয়েছে, তিনি মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন। ছোটু বাবা, যাঁর উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি, তিনিও দর্শনার্থীদের আশীর্বাদ দিয়ে মুগ্ধ করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি গত ৩২ বছর ধরে স্নান করেননি, এমনকি মেলাতেও তা করবেন না।
মহাকুম্ভে এই সাধু-সন্তদের উপস্থিতি মেলার পরিবেশকে আরও রঙিন এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তাঁদের কাহিনি শুনতে এবং তাঁদের দর্শন পেতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। এসব বাবারা শুধু পুণ্যার্থীদের আকর্ষণ করছেন না, তাঁরা নিজেদের কাজের মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বার্তাও ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মহাকুম্ভ মেলা ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। এটি কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি মিলনক্ষেত্র, যেখানে মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাস, কৌতূহল এবং সম্প্রীতির পরিবেশে একত্রিত হয়। অদ্ভুত নামধারী এই বাবারা মানুষকে দেখাচ্ছেন, আধ্যাত্মিকতা কেবল ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি জীবনের গভীরতাকে অনুধাবন করার এক মাধ্যম।