Saturday, April 12, 2025
Google search engine
Homeরাজনীতিঅন্যানো রাজনীতিগঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি

গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি

The chief minister is coming to inaugurate the Gangasagar fair, preparations are going on vigorously: আগামী ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার শুভ উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এবছরও মেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই তুমুল প্রস্তুতি চলছে। কপিলমুনি মন্দির এলাকা এবং সংলগ্ন হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে নীল-সাদা রঙে। নিরাপত্তার বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে হেলিকপ্টার মহড়া। উল্লেখ্য, এই মেলাকে ঘিরে প্রতি বছর কোটি কোটি তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগরে আসেন পুণ্যস্নান এবং পূজার্চনার উদ্দেশ্যে।২০২২ সালে কপিলমুনি মন্দির এলাকায় দুটি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও তাঁর হেলিকপ্টার করেই আসার কথা। প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি দিতে তৃণমূল সরকার গত এক দশকে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে।

গঙ্গাসাগর মেলা এই বছর ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার প্রধান আকর্ষণ কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণ। তবে নদীর করালগ্রাসে মন্দির এলাকা অনেকটাই সংকুচিত হয়ে গেছে, যা প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশে ড্রোন নজরদারি চালানো হচ্ছে।গত বছর মেলায় প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ তীর্থযাত্রী উপস্থিত ছিলেন। যদিও এবার কুম্ভ মেলার কারণে ভিড় কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা নিয়ে প্রশাসন কোনো ঝুঁকি নিচ্ছে না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুণ্যার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

1703147029 ganga sagar

পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার মেলার ভেতরে স্বাস্থ্য শিবির, পানীয় জলের বুথ এবং ফুড স্টল স্থাপন করেছে। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বিশেষ হেলিকপ্টার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছরের মেলার থিম পরিবেশ সচেতনতা। তীর্থযাত্রীদের প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মেলার আকর্ষণ বাড়াতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।গঙ্গাসাগর মেলা যে কেবল ধর্মীয় নয়, বরং পর্যটন ও রাজ্যের অর্থনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলে, তা বলাই বাহুল্য। স্থানীয় হোটেল, দোকান এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য মেলা বড় ধরনের আয়ের সুযোগ নিয়ে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের মানচিত্রে আরো উজ্জ্বলভাবে স্থান দেওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments