Friday, April 11, 2025
Google search engine
Homeটপ 10 নিউসদেগঙ্গা সদস্যতা অভিযানে মিঠুন চক্রবর্তী

দেগঙ্গা সদস্যতা অভিযানে মিঠুন চক্রবর্তী

Mithun Chakraborty in Deganga Membership Campaign :দেগঙ্গার কলসুরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির সদস্যতা অভিযান যেন এক নতুন রঙ পেল মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে। অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই সদস্যতা অভিযানে যোগ দিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছেন। মিঠুন চক্রবর্তীকে একঝলক দেখতে এবং তার বক্তব্য শুনতে স্থানীয় মানুষের ভিড় জমে যায়। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে, এই সদস্যতা অভিযানে প্রায় ৫০০ জন নতুন সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে, যা তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দেওয়া সদস্যতা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বড় পদক্ষেপ।

1200 675 23175742 thumbnail 16x9 mithun aspera

মিঠুন চক্রবর্তী এই সদস্যতা অভিযানে গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মানুষের মধ্যে উৎসাহ আছে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে টার্গেট দিয়েছে, তা পূরণ হবে। তবে টার্গেট সবসময় একটু বেশি দেওয়া হয়, কারণ তাতে দল আরও বড়ো সাফল্য অর্জন করতে পারে।” তার বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল, বিজেপি দল তাদের সদস্যসংখ্যা বাড়াতে কতটা আগ্রহী এবং এই অভিযানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রামের মানুষ, যারা হয়তো আগে রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিল না, তারা মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে প্রভাবিত হয়েছেন। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “মিঠুনদাকে সামনে থেকে দেখব, এটা ভাবিনি। উনার কথা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা চাই যে আমাদের গ্রামও উন্নতির পথে এগিয়ে যাক।”

সদস্যতা অভিযানের সময় মিঠুন চক্রবর্তী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট চক্র উদ্ধারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি অনেক আগেই বলেছি, এটা আমাদের দেশের জন্য ভালো নয়। আমাদের বাংলাদেশ থেকে শিখতে হবে। একসাথে না লড়লে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।” তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মিঠুনের বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং এ নিয়ে দলীয় প্রচারে সরব।

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তাদের ভিত্তি মজবুত করতে নানা রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। সদস্যতা অভিযান তারই একটি অংশ। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় মুখ এই অভিযানে যোগ দেওয়ায় দল অনেকটাই লাভবান হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মিঠুনের উপস্থিতি শুধুমাত্র সদস্যসংখ্যা বাড়াতেই সাহায্য করছে না, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজেপি-র গ্রহণযোগ্যতাও বাড়াচ্ছে।

এই ধরনের সদস্যতা অভিযান গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে রাজনীতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি মানুষকে আরও বেশি প্রভাবিত করে। এর ফলে, গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বিজেপি-র মতো জাতীয় দলের ভিত্তি আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

164141 184

বিজেপি নেতৃত্বের মতে, এই ধরনের সদস্যতা অভিযান তাদের দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো নেতারা দলের এই উদ্যোগকে আরও বেশি কার্যকর করে তুলছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এটি একটি বড়ো পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে, যেখানে গ্রামাঞ্চলের মানুষও ক্রমশ বিজেপি-র দিকে ঝুঁকছে।

দেগঙ্গায় মিঠুন চক্রবর্তীর এই সদস্যতা অভিযান শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গে তাদের প্রভাব বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মিঠুনের উপস্থিতি এবং তার বক্তব্য স্থানীয় মানুষের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তবে, এই ধরনের উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments