Bankura tab scam: ট্যাব কেলেঙ্কারির আঁচ এবার বাঁকুড়ায়। জেলার ১০টি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা চলে গেছে অন্য একাউন্টে। ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, এই অর্থ মূলত মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে ট্যাব কেনার জন্য প্রতিটি পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা সরাসরি পাঠানোর কথা ছিল। তবে কীভাবে এই অর্থ অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্কুলগুলোর অভিযোগ, বাংলা শিক্ষা পোর্টালের নথিভুক্তির প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ছিল বা হয়তো বড় কোনো জালিয়াতি ঘটেছে। ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দকৃত এই অর্থ পড়ুয়াদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর জেলা প্রশাসন এবং শিক্ষা দপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জেলা সেকেন্ডারি স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন, যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে, সেগুলি ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের প্রাপ্য টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজও চলছে। তবে যদি কোনো জালিয়াতি প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত। যারা দোষী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের কেলেঙ্কারি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করার সমান।” স্কুল প্রশাসনের একাংশের মতে, এমন ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে। অভিভাবকরা এই ঘটনার পর তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের সন্তানের প্রাপ্য টাকা কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেল, সেটা আমাদের বোঝা দরকার। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
ঘটনার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। তারা মনে করছে, তাদের প্রাপ্য সুবিধাগুলি সঠিকভাবে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে শিক্ষা দপ্তর আশ্বস্ত করেছে যে, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং পড়ুয়াদের প্রাপ্য সুবিধাগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে শিক্ষা পোর্টালের কাজকর্মে আরও স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা প্রয়োজন।
বাঁকুড়ার মতো শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসর একটি জেলায় এমন ঘটনা সামাজিক ও প্রশাসনিক স্তরে গভীর প্রভাব ফেলেছে। শিক্ষা দপ্তর এই ঘটনাকে বড় ধরনের সতর্কবার্তা হিসাবে দেখছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে সিস্টেমের উন্নতির ওপর জোর দিচ্ছে।