Saturday, April 19, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্য শিশু দিবসে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে মাংস ভাত

 শিশু দিবসে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে মাংস ভাত

On Children’s Day, the students have a mid-day meal with meat and rice: ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবস। এই বিশেষ দিনে সারা দেশে ছোটদের জন্য আয়োজন করা হয় নানারকম অনুষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় জলপাইগুড়ি সদর বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ উৎসব। বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য এদিনের মধ্যাহ্নভোজ বা মিড ডে মিলের মেনুতে ছিল বিশেষ আকর্ষণ—মাংস-ভাত। শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

সকাল থেকেই স্কুলের প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছিল আনন্দঘন পরিবেশে। প্রিয় কার্টুন চরিত্র মটু-পাতলু হাজির ছিল পড়ুয়াদের আনন্দ দিতে। তাদের ঘিরে খুশিতে মেতে ওঠে ছোট্ট কচিকাঁচারা। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে শিশুদের মধ্যাহ্নভোজ ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব। জলপাইগুড়ি ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত হয়ে শিশুদের হাতে মাংস-ভাত পরিবেশন করেন। এমন একটি দিন ছোটদের কাছে আনন্দদায়ক করে তুলতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং জেলা শিক্ষা দপ্তরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।


মাংস-ভাতকে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় ধরা হয়। এদিন মিড ডে মিলের এই মেনু শুধুমাত্র শিশুদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করেনি, বরং তাদের মনে আনন্দ এবং উৎসাহের সঞ্চার করেছে। জলপাইগুড়ি ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান বলেন, “শিশু দিবস হল শিশুদের আনন্দ এবং পুষ্টির দিন। আমরা চেয়েছি, পড়ুয়ারা আজ যেন বিশেষ অনুভূতি পায়। মাংস-ভাত দিয়ে তাদের মধ্যাহ্নভোজকে একটু অন্যরকম করে তুলতে পেরে আমরা খুশি।”স্থানীয় বাসিন্দারা এবং অভিভাবকেরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অভিভাবক রত্না দে বলেন, “আমার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে অনেক খুশি। সে জানালো যে আজ স্কুলে অনেক আনন্দ করেছে এবং মাংস-ভাত খেয়ে খুব তৃপ্ত।” স্থানীয় সমাজসেবক অরূপ সরকার বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের স্কুলমুখী করে তুলতে সাহায্য করে। পড়ুয়ারা যদি এমন আনন্দময় পরিবেশে স্কুলে আসে, তবে পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে।

images?q=tbn:ANd9GcQtYil6wSU5rGenVsQNQSI TWvWzq4y9Z6eug&s


শিশু দিবস ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিনে পালিত হয়। শিশুদের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার জন্যই এই দিনটিকে শিশুদের উৎসর্গ করা হয়েছে। এই দিনে স্কুলগুলিতে নানা ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। জলপাইগুড়ি সদর বালিকা বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে স্কুলে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য এবং পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করতে কার্যকর হতে পারে। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, মিড ডে মিলের মান উন্নত করে এভাবে ছোটদের উৎসাহিত করলে, বিশেষত পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে শিক্ষার হার বাড়বে।

জলপাইগুড়ির মতো অন্যান্য জেলাগুলিতেও এ ধরনের উদ্যোগ যদি নেওয়া হয়, তবে ছোটদের প্রতি যত্নশীলতা এবং তাদের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব হবে। পড়ুয়াদের আনন্দদায়ক মুহূর্ত দিতে এবং তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments