Drugs worth lakhs of rupees recovered on the national highway, arrested 2: মালদার গাজোল ব্লকের মশালদিঘি এলাকায় জাতীয় সড়ক ধরে চলা এক বিশেষ অভিযানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মাদক পাচারকারী দলের দুই সদস্য, রতন দেবনাথ (৫৩) এবং মহেশ সরকার (৩১)। পুলিশের গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মশালদিঘি সংলগ্ন ১২ নং জাতীয় সড়কে দুজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাঁদের আটক করে পুলিশ তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, এই মাদক সামগ্রী মূলত মনিপুর থেকে নদীয়া হয়ে বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দ্রুত এই অভিযান চালিয়েছি এবং প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারছি এটি একটি আন্তঃরাজ্য মাদক চক্রের অংশ। অভিযুক্তদের ত্রিপুরা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং পাচারের এই চক্রটিকে ধ্বংস করার জন্য আরও তদন্ত চলছে।” তিনি আরও বলেন, “মাদক পাচারের মাধ্যমে সমাজের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বিশেষ করে যুব সমাজ। তাই এই ধরনের পাচার চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। মশালদিঘির বাসিন্দা রাজীব চৌধুরী জানান, “আমাদের এলাকায় মাদক পাচারের এমন ঘটনা ঘটছে শুনে ভয় পাই। পুলিশ যদি এই ধরনের অভিযান না চালাতো, তাহলে কতো তরুণ এই মাদকের নেশায় ডুবে যেতো।”
এই ঘটনাটি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয়, কীভাবে মাদক পাচার চক্রের শিকড় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এবং স্থানীয় এলাকার নিরাপত্তা ও সামাজিক পরিবেশকে বিপন্ন করছে। পুলিশ প্রশাসন এখন আন্তঃরাজ্য মাদক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে এবং পাচার রোধে আরও তৎপর রয়েছে। বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলে মাদক পাচারের প্রবণতা বাড়ছে বলে পুলিশের সন্দেহ।

সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক পাচারের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পুলিশের এই দ্রুত পদক্ষেপ এবং অভিযানের সাফল্য মাদক পাচার প্রতিরোধে একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হিসেবে গৃহীত হতে পারে। স্থানীয়রা পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে, এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করতে এবং মাদকচক্র থেকে দূরে রাখতে আরও তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন।