‘Snake Mama’ present at Deputy Mayor’s house: কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে এবার চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটল—ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের অফিসে দেখা মিলল এক দু’ফুট লম্বা সাপের। বুধবার সকালে পুর ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতীন ঘোষের ঘরে এই সাপটি দেখতে পান পুরকর্মীরা। দ্রুত খবর দেওয়া হয় কেয়ারটেকারকে এবং বন দফতরের কর্মীরা এসে উপস্থিত হন। তবে সাপ ধরার চেষ্টা করেও তারা সাপটিকে খুঁজে পাননি। এদিকে সাপের উপস্থিতির খবরে নিজেই ডেপুটি মেয়রের ঘরে এসে তল্লাশি চালান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি নিজেই বললেন, “আমি নিজেই সাপ ধরতে পারি, তাই ডেপুটি মেয়রের ঘরে এসেছিলাম। কিন্তু সাপটিকে দেখা যায়নি।”
পুর ভবনে সাপ মামার আবির্ভাবে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রথম নয়, গত মার্চ মাসে ট্রেজারি বিভাগের নিচে দাঁড়াশ সাপের দেখা মিলেছিল। তখন থেকেই প্রাণী ও পোকামাকড়ের উপদ্রব পুর ভবনে একপ্রকার আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুর ভবন সংলগ্ন হগ বিল্ডিংয়ের শিক্ষা দফতরের কর্মীরাও জানিয়েছেন, তাঁদের ঘরে বড় ইঁদুর এবং বেজির উপদ্রব রয়েছে, যা কর্মীদের জন্য এক চরম সমস্যা হয়ে উঠেছে। শিক্ষা দফতরের এক কর্মী জানান, “আমরা অফিসে বসে কাজ করতে গিয়ে আতঙ্ক বোধ করি। কখন যেন পায়ের নিচে বেজি চলে আসে তার ঠিক নেই।”
এই প্রাণীর উপদ্রব থেকে পুর ভবনের কর্মীদের রক্ষা করতে বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে খুঁজতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তাই শেষমেশ তারা ডেপুটি মেয়রের ঘরের আনাচে-কানাচে কার্বলিক অ্যাসিড ছিটিয়ে দেন, যার তীব্র গন্ধে কর্মীরা ওই ঘরে বসতে পারেননি। এদিকে কার্বলিক অ্যাসিডের ব্যবহার নিয়ে কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এক কর্মী বলেন, “অ্যাসিডের গন্ধে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে, তবুও যদি সাপ আর না আসে, তাহলে অন্তত সুরক্ষিত বোধ করব।”
শুধু সাপই নয়, পুর ভবনের অন্যান্য দফতরেও ইঁদুর, বেজি, এমনকি ভামের উপদ্রব লেগেই রয়েছে। তেতলায় যুগ্ম পুর কমিশনার জ্যোতির্ময় তাঁতির ঘরে ফল্স সিলিং থেকে পচা ভামের গন্ধ বেরোতে শুরু করেছিল, যা অফিসের পরিবেশকে আরও কঠিন করে তুলেছিল। ইঁদুরেরা কম্পিউটার এবং এসির তার কেটে দিচ্ছে, যা একদিকে অফিসের কাজ ব্যাহত করছে এবং অন্যদিকে ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ক্ষতিসাধন করছে।পুর ভবনে এই ধরনের প্রাণী উপদ্রব রোধে কর্মীরা আশা করছেন, প্রশাসন আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে। অনেকেই বলছেন, প্রাণীর সমস্যা থেকে পুর কর্মীদের রক্ষা করা গেলে কর্মপরিবেশ আরও উন্নত হবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই সমস্যা সমাধানে স্থায়ী কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।