Monday, April 14, 2025
Google search engine
HomeUncategorisedশুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

Trinamool in commission against Shuvendu Adhikari:-রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে, তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। সোমবার বিকেলে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের কাছে শুভেন্দুর বক্তব্য সেন্সর করার দাবি জানায়। তৃণমূলের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, এবং দলীয় নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যৌথভাবে কমিশনে অভিযোগ দাখিল করেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুভেন্দুর বক্তব্য বিভাজনমূলক এবং নির্বাচনের পরিবেশকে দূষিত করছে। কুণাল ঘোষ জানান, “শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত সাম্প্রদায়িক বিষোদগার করছেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।” শশী পাঁজা যোগ করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, যেখানে সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।”

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষ তৃণমূলের অভিযোগকে সমর্থন করছেন, কারণ তাদের মতে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো উচিত নয়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ্বরী পাল বলেন, “আমরা এখানে শান্তি চাই। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আমাদের সমাজকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। যেকোনো নেতারই কথা বলার আগে মানুষের কথা ভাবা উচিত।”

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি নেতা ও শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থক তন্ময় দাস বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী সত্যি কথা বলেছেন, যা তৃণমূল মানতে পারছে না। এটা একধরনের রাজনৈতিক চাল, যাতে মানুষের সমর্থন পেতে পারে।” বিজেপির মতে, তৃণমূলের এই অভিযোগ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিশন যদি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, তাহলে এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেতে পারে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও কড়া নজরদারির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারে তৃণমূল।

এমন একটি পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক নেতাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাধারণ মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments