Form filling of secondary examination will be online from now:২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলা ছাত্রছাত্রীদের জন্য এক বড় পরিবর্তন আনল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের প্রক্রিয়াটি হবে পুরোপুরি অনলাইন, যা শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পর্ষদ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ২ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু হবে এবং চলবে ১৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত ওয়েবসাইট www.wbbsedata.com তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি বিদ্যালয় তাদের পরীক্ষার্থীদের তথ্য আপলোড করবে
আগে যেখানে মাধ্যমিকের ফর্মগুলি পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে জমা দেওয়া হতো, এবার সেই সমস্ত কাজ সরাসরি অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। এটি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি পর্ষদের কর্মকর্তাদের জন্য কাজ সহজ করবে, কারণ ফর্ম প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত ও কার্যকরী হবে। পর্ষদ জানিয়েছে, কোনো স্কুল ফর্ম আপলোড করতে দেরি করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে অফলাইনে ফর্ম জমা দেওয়ার সুযোগও থাকবে।
এই পদক্ষেপটি শিক্ষার্থীদের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বারাসাতের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিবরাম দত্ত বলেন, “এই পরিবর্তন ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আমাদের এক নতুন দিশা দেখাবে। ছাত্রছাত্রীরা এখন থেকেই অনলাইনে কাজ করার সুযোগ পাবে, যা তাদের ভবিষ্যতে আরও দক্ষ করে তুলবে।”তবে এই সিদ্ধান্তে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একদিকে অনেকে এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাচ্ছেন, অন্যদিকে কিছু অভিভাবক, বিশেষ করে যারা গ্রামীণ এলাকায় থাকেন, তারা অনলাইন প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত না হওয়ায় কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন। একটি স্কুলের অভিভাবক কমিটির সদস্য বলেন, “অনেকের ঘরে ইন্টারনেটের সুবিধা নেই, এবং সব ছাত্রই এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন নয়। তাই সরকারের উচিত, এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো।”
পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনলাইন ফর্ম ফিলাপ প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তা করা হবে এবং যেসব ছাত্রছাত্রী অনলাইন অ্যাক্সেসে সমস্যার মুখোমুখি হবেন, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে।এই নতুন অনলাইন প্রক্রিয়ার ফলে বিদ্যালয়ের কর্মকর্তারাও কাজের ঝামেলা থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন বলে আশা করছেন। পরীক্ষার দিনক্ষণও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছে। ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রথম ভাষার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে, এবং শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই নির্ধারিত সময়সীমা শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নতুন অনলাইন ফর্ম ফিলাপ ব্যবস্থা শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে এবং আশা করা যাচ্ছে, এই ডিজিটাল পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কার্যকর হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল যুগে আরও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এই উদ্যোগ সফল হলে, বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে এই পরিবর্তন অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।