The theme of Raniganj Railway Recreation Club is ‘Hunting’:রানীগঞ্জের রেলওয়ে রিক্রিয়েশন ক্লাব এই বছর দুর্গাপুজোর জন্য একটি অনন্য থিম ‘শিকার’ বেছে নিয়েছে, যা নিজস্ব ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে উদযাপন করার এক অনন্য পদক্ষেপ। এই থিমটি প্রধানত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রাচীন জীবনযাপন ও শিকার কৌশলগুলির উপর আলোকপাত করে, যা প্রকৃতির সঙ্গে তাদের গভীর সংযোগকে তুলে ধরবে। এর ফলে এলাকার সাধারণ মানুষজন তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতি গভীরতর অনুধাবন লাভ করবে।

এই পুজো উদযাপন না কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে দেখা হয়, বরং এটি সমাজের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির এক অনন্য মাধ্যম হিসাবে গণ্য হয়। থিম ‘শিকার’ আদিবাসী জনজীবনের নানা দিক ও তাদের দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে, যা অনেকের কাছে অজানা ছিল। এই উদ্যোগ আদিবাসী জীবনের প্রতি সম্মান ও গভীর শ্রদ্ধার বার্তা দেয়।
পুজো কমিটির সদস্যদের মতে, এই পুজো আয়োজনে প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, যা এলাকার অর্থনীতির জন্য একটি বড় অবদান রাখে। পুজোর সাজসজ্জা, প্যান্ডেল নির্মাণ এবং মূর্তি নির্মাণে স্থানীয় শিল্পীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। এই পুজোর মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার দর্শনার্থী এলাকায় আসেন, যা স্থানীয় ব্যবসা ও পর্যটন শিল্পকে সহায়তা করে।

তবে, এই আয়োজনের সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও জড়িত। বিশেষত, নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ প্রধান চ্যালেঞ্জ। ক্লাব ও পুজো কমিটি এই বিষয়গুলির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে এবং প্রতিবছর আরও নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পুজো আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে।