Bangladesh will return to the formation of the interim government!: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তাল এবং পরিবর্তনশীল। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি অভাবনীয় ঘটনা ঘটে গেছে। ছাত্র আন্দোলনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে যান শেখ হাসিনা এবং সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। এই অবস্থায় দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে বাংলাদেশ পরিচালনা করা হবে।” বৈঠকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা দুপুর ২টার পর থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল করে তুলেছেন। শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, উত্তরা, গাবতলীসহ ঢাকার সব জায়গায় আন্দোলনকারীদের স্লোগানে রাজপথ কেঁপে উঠছে। তারা গুলি করে শিক্ষার্থী ও জনতাকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি করছেন। পাশাপাশি সুশাসন ফিরিয়ে আনারও দাবি জানাচ্ছেন।
হাজারো জনতার স্রোত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়েছে এবং আন্দোলনকারীরা উল্লাস-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। গণভবনে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও জাতীয় সংসদ ভবন দখল করে হাজারো মানুষ। বিকেল ৪টার দিকে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত। একজন শিক্ষার্থী, রাকিবুল হাসান, বলেন, “আমরা সুশাসনের জন্য এই আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”
আন্দোলনের এই গতিপ্রকৃতি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন না হয়, তবে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন উত্তাল সময় খুব কমই দেখা গেছে। এই ঘটনাগুলি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং সাধারণ মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশের সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।