Saturday, April 12, 2025
Google search engine
Homeবিনোদনতারকাঅরিজিৎ-কণ্ঠের AI ক্রিয়েশনে স্থগিতাদেশ

অরিজিৎ-কণ্ঠের AI ক্রিয়েশনে স্থগিতাদেশ

Arijit Singh Voice Ai Creation: ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে এআই পারে না এমন কোনও কাজ নেই। কণ্ঠস্বর থেকে শুরু করে ছবি বা ভিডিয়ো সবকিছুই নকল করা সম্ভব সহজেই। একাধিক বলিউডের তারকার ডিপফেক ভিডিয়োও তৈরি হয়েছে। এবার এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠস্বর তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গায়ক। বম্বে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, শিল্পীর কণ্ঠস্বর তাঁর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা মানে তাঁর ব্যক্তিত্বের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে এখন যে কারও কণ্ঠস্বর থেকে ছবি বা ভিডিয়ো সবকিছুই হুবহু নকল তৈরি করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। বলিউডের একাধিক তারকার ডিপফেক ভিডিয়োও তৈরি হয়েছে এআই ব্যবহার করে। সেই এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠস্বর নকল করা হয়েছে এবং সবটাই তাঁর বিনা অনুমতিতে— এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন অরিজিৎ সিং।

সেই মামলায় বম্বে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, শিল্পীর ব্যক্তিত্বের অধিকার এবং প্রচারের অধিকারের দিক থেকে তাঁর নাম, কণ্ঠ, ছবি, ব্যক্তিত্ব এবং অন্যান্য খুঁটিনাটির সুরক্ষা থাকা উচিত। বিচারপতি আরআই চাগলা তাঁর অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছেন, একজন প্রথিতযশা শিল্পীর কণ্ঠস্বর তাঁর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা তাঁর ব্যক্তিত্বের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে।

আইন সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনকারী সংস্থা ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ জানিয়েছে, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ— ‘প্রযুক্তির এই ধরনের অপব্যবহার শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তির তাঁর নিজস্বতা রক্ষা করার উপর বাধা তৈরি করে না, পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভার বাণিজ্যিক ও ভুয়ো ব্যবহারকে রোখার অধিকারকেও ক্ষুণ্ণ করে।’ আদালতের রায় ব্যাখ্যা করে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠস্বরকে নতুন করে তৈরি করার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।

এই রায়ের প্রেক্ষিতে, অরিজিৎ সিং বলেন, “এটি শুধু আমার ব্যাপার নয়, এটি সব শিল্পীর ব্যাপার। আমাদের কণ্ঠস্বর, আমাদের পরিচয়। এটি আমাদের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা মানে আমাদের অধিকারকে অবমাননা করা।”

এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ইতিমধ্যেই গায়ক কুমার শানু এবং বলিউড তারকা বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন থেকে অনিল কাপুর-জ্যাকি শ্রফ এর মতো একাধিক নামী ব্যক্তিত্ব তাঁদের কণ্ঠ-ছবির ডিজিটাল অপব্যবহার রুখতে কোর্টের রক্ষাকবচ নিয়েছেন।

এই ঘটনার প্রভাব স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপরও পড়ছে। সামাজিক মাধ্যম এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার এখন সমাজের একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন তাঁদের নিজেদের ছবি, কণ্ঠস্বর বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন।

ভবিষ্যতে, এই রায় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় ধরনের বার্তা বহন করবে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং কনটেন্ট নির্মাণের আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া, এই রায় সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং তাঁদের নিজেদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে আরও সচেতন করে তুলবে।

এর পাশাপাশি, শিল্পীদের কণ্ঠস্বর, ছবি, বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্যের বাণিজ্যিক ব্যবহারে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং শিল্পীদের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছুই ব্যবহার করা যাবে না। এটি তাঁদের অধিকার রক্ষা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।

এই পুরো ঘটনার উপর নজর রাখা হবে এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments