Friday, April 11, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যঅপরাধের খবর নদিয়ার জোড়া খু*নে গ্রেফতার বাড়ির মালিক 

 নদিয়ার জোড়া খু*নে গ্রেফতার বাড়ির মালিক 

House owner arrested in Nadia’s twin murders:বৃহস্পতিবার রানাঘাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর গাড়ি চালক রূপম দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকাল ১১ টা নাগাদ চালক রূপমকে সঙ্গে নিয়ে সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় রানাঘাট পুরসভার উপকণ্ঠে থাকা আনুলিয়া পঞ্চায়েতের মনসাতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই দুই যুবকের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানোর চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাতও লেগেছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

Untitled 22

পুলিশ জানায়, এই খুনের পেছনে থাকা মোটিভ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সম্ভাবনার মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে শুরু করে অন্য কোনও অর্থনৈতিক বা সামাজিক কারণও থাকতে পারে। মৃত সুমন চক্রবর্তীর ব্যবসায়িক দিক নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে, কারণ তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আগের কিছু ঝামেলা ছিল বলে জানা গেছে।

মামলাটির তদন্তের অংশ হিসেবে, পুলিশ বাড়ির মালিক দীপককে গ্রেফতার করেছে। দীপক ও সুমনের মধ্যে কোনও পুরনো শত্রুতা ছিল কি না, বা কোনও অর্থনৈতিক লেনদেনের জটিলতা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকাবাসীর মধ্যে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই বলছেন, “এতটা নৃশংস ঘটনা আমাদের এলাকায় ঘটতে পারে আমরা ভাবতেও পারিনি।”

স্থানীয় বাসিন্দা মিসেস রায় বলেন, “আমরা এই এলাকায় বহু বছর ধরে বাস করছি, কিন্তু এরকম ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমাদের শিশুদের নিয়ে আমরা এখন চিন্তিত।”

এই ঘটনার ফলে রানাঘাটের স্থানীয় সম্প্রদায়ে একটি বড় প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, এবং অনেকেই তাঁদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছেন।

খবরের সূত্র অনুসারে, নিহতদের পরিবারগুলো শোকের মধ্যে রয়েছে এবং তাঁরা দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে চান। সুমনের মা বলেন, “আমার ছেলে সুমন একজন ভাল মানুষ ছিল। কারো সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”

পুলিশ এখনও সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং স্থানীয় লোকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই খুনের কারণের গভীরে পৌঁছানোর জন্য পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করছে। এলাকাবাসীও পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে।

Untitled 23

এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং তাঁরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন।

খুনের তদন্তে আরও অনেক বিষয় পরিষ্কার হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনও এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তাঁরা দ্রুততার সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি চান।

এই ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের সমাজে এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। আমরা আশা করি যে পুলিশ দ্রুত এই ঘটনার পেছনের সত্য উদঘাটন করতে পারবে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পারবে।

images 6

এই ঘটনা রানাঘাটবাসীদের মধ্যে এক নয়া নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে। এলাকাবাসী এবং প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় এই ঘটনার সঠিক বিচার সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments