Water was released from Durgapur barrage for irrigation : বর্ষার সূচনা উপলক্ষে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে সেচের জল ছাড়ার পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গের কৃষি ও সামগ্রিক জনজীবনে এক বিশেষ মোড় নিয়ে আসছে। সঞ্জয় মজুমদার, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সেচ দপ্তর অনুসারে, বাঁকুড়া, পশ্চিম এবং পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, এবং হুগলি— এই পাঁচ জেলার প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার একর জমিতে চাষের জন্য এই জল ব্যবহার হবে। এই উদ্যোগ পরবর্তী ১৫ দিন যাবত চলবে এবং প্রতিদিন ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। এই সিদ্ধান্তটি বৃষ্টির ঘাটতি মোকাবেলা করার এক প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানীয় কৃষক এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জল ছাড়ার ফলে আমন ধানের চাষ যা প্রায় নিশ্চিত ভাবেই ব্যাহত হচ্ছিল, তার এক বড় সংকট কাটানো গেল। অনেক কৃষক যারা বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন, তারা এখন তাদের ফসল বাঁচাতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছেন। প্রথম বর্ষার মরশুমে এই জল ছাড়া কৃষকদের মধ্যে একটি আশার আলো জ্বালিয়েছে।
তবে এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদদের একটি উদ্বেগের বিষয় হলো যে, একটানা জল ছাড়ার ফলে ব্যারাজের জলস্তরে কোনো হ্রাস পাবে কিনা এবং তা যদি পায় তবে তার পরিবেশগত প্রভাব কী হবে। এই বিষয়ে সঞ্জয় মজুমদার বলেন, “আমরা সব সময়েই ব্যারাজের জলস্তর নিয়ন্ত্রণে রাখি এবং পরিবেশ সুরক্ষার সব নির্দেশিকা মেনে চলি। প্রয়োজনে পরবর্তী কালে জল ছাড়া বন্ধ রাখা হতে পারে।”
বর্তমানে, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার কৃষকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা করছেন যে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তাদের চাষাবাদ আরো ভালো হবে। এই সকল প্রযুক্তিগত ও কৃষি উন্নতির পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি আশার বাণী বয়ে আনছে যে, প্রযুক্তি ও প্রশাসনিক উদ্যোগ মিলে তারা যে কোনো প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করতে পারে।
