বিপত্তারিণী পুজোর ঐতিহাসিক উদ্ভবের কাহিনী রয়েছে যা বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের সাথে যুক্ত। এক রানি এবং তাঁর নিম্নবর্ণের সখীর মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে এই পুজোর প্রচলন শুরু হয়। রানি একবার কৌতূহলবশত গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন, যা তাঁর সখী প্রথমে অস্বীকার করেন কিন্তু পরে আনতে বাধ্য হন। রাজা যখন এই বিষয়ে জানতে পারেন এবং রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন, তখন রানি মা দুর্গাকে স্মরণ করেন এবং তাঁর বস্ত্রের আড়ালে রাখা গোমাংস লাল জবা ফুলে পরিণত হয়। রাজা ভুল বুঝতে পারেন এবং রানিকে ক্ষমা করে দেন। এরপর থেকে রানি নিয়মিত বিপত্তারিণীর ব্রত করতে থাকেন এবং এটি একটি প্রচলিত অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।
বিপত্তারিণী পুজো আজও বাংলার নানা প্রান্তে বিশেষ ভাবে পালিত হয়, এবং এটি মানুষের মনে বিপদ থেকে মুক্তির আশা জাগিয়ে তোলে। পুজোর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ একত্রিত হয়, যা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির একটি উপলক্ষ হয়ে ওঠে। এই পুজোর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে একতা, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটে, যা প্রতিটি বছর পুনরাবৃত্তি হতে থাকে।
