Saturday, April 12, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্যবাংলাদেশের বগুরায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃ*ত ৫ 

বাংলাদেশের বগুরায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃ*ত ৫ 

5 died due to electrocution during chariot ride in Bogura, Bangladesh : গতকাল বিকেলে বাংলাদেশের বগুড়া শহরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার সময় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। সেউজগাড়ি আমতলা মোড়ে রথযাত্রা চলাকালীন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এবং আহত হয় প্রায় ৫০ জন। এই দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটল এবং এর পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা যাক।রথযাত্রা উৎসবের সময় রথের চূড়া বৈদ্যুতিক তারে আটকে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই রথের উচ্চতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল যাতে বৈদ্যুতিক তারের সাথে সংঘর্ষ না ঘটে। কিন্তু, রথযাত্রা আয়োজকদের ত্রুটির কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বগুড়ার জেলাশাসক সাইফুল ইসলাম আয়োজকদের এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তবে বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ এবং প্রশাসনও তাদের দায় এড়াতে পারে না।

রথযাত্রা আয়োজক কমিটির প্রধান খরাজিতা কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলেন, “অনেক বছর ধরেই বগুড়া শহরে রথযাত্রা হচ্ছে। অতীতে কখনই এই রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেনি। সড়কে তার থাকবেই। তারের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় রথের গম্বুজটি নামানোর কথা ছিল। এজন্য আমাদের লোকজনও ছিল। আমতলা মোড়ে ভুলক্রমে রথের চূড়া নিচে নামানোর আগেই বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শ লেগে আগুন ধরে যায়। রথে হাত রাখা সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আমি বারবার গম্বুজটি নামাতে বলেছিলাম। কিন্তু, আমার কথা কেউ শোনেনি।”

এই ঘটনার পরপরই বগুড়ার জেলাশাসক সাইফুল ইসলাম পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যার প্রধান অতিরিক্ত জেলাশাসক পিএম ইমরুল কায়েস। এই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন এলাকার সাংসদ রাগেবুল আহসান, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। কিন্তু, উদ্বোধনের ১০ মিনিটের মধ্যেই রথযাত্রা সেউজগাড়ি আমতলা মোড়ে পৌঁছায় এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক তারের সাথে রথের চূড়া স্পর্শ হওয়ার সাথে সাথেই রথে আগুন ধরে যায় এবং উপস্থিত লোকজন প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করে। এই সময় অনেকেই পদদলিত হয়ে আহত হন।

এই দুর্ঘটনা বগুড়ার জনগণের মধ্যে গভীর শোকের সঞ্চার করেছে। রথযাত্রা বাংলাদেশের একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এই মর্মান্তিক ঘটনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক এবং হতাশা ছড়িয়েছে।ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে রথযাত্রা আয়োজকদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বৈদ্যুতিক তারের নিচ দিয়ে রথ যাওয়ার সময় চূড়া নিচে নামানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকেও রথযাত্রার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।এই দুর্ঘটনা আমাদেরকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয় যে ধর্মীয় উৎসবের সময় সুরক্ষার ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। রথযাত্রার মতো বড়ো আয়োজনের সময় প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে জনসাধারণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments