Ronaldo cried profusely at the last Euro Cup of his career: “এটাই শেষ… মাঠে অঝোরে কাঁদলেন রোনাল্ডো, গ্যালারিতে চোখের জল বাধ মানল না মায়ের।” ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ফুটবল বিশ্বে যাকে সিআর সেভেন নামে চিনে সবাই, এই কথাটি বলতেই সারা বিশ্বে তার কোটি কোটি ভক্তের চোখে জল এসে যায়। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পর্তুগালের শেষ ষোলো ম্যাচের পর এই ঘোষণা রোনাল্ডো করেছিলেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনও গোল না করতে পারায়, খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। অতিরিক্ত সময়েও পর্তুগাল গোলের সুযোগ নষ্ট করে এবং খেলা টাইব্রেকারে চলে যায়।
টাইব্রেকারে পর্তুগাল ৩-০ ব্যবধানে স্লোভেনিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায়। পেনাল্টি শুটআউটে পর্তুগালের হয়ে গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ব্রুনো ফের্নান্ডেজ এবং বের্নান্দো সিলভা। কিন্তু স্লোভেনিয়ার কোনো খেলোয়াড়ই গোল করতে পারেননি। এই ম্যাচে পর্তুগালের সাফল্যের পর, মাঠে রোনাল্ডোর কান্না এবং গ্যালারিতে তার মায়ের চোখের জল দেখে সমগ্র ফুটবল বিশ্ব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে।

রোনাল্ডো, যিনি এখন ৩৯ বছর বয়সী, জানিয়েছেন যে এটাই তার শেষ ইউরো কাপ। তিনি বলেন, “এটা আমার শেষ ইউরো কাপ। আর এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার জন্য আমি আবেগপ্রবণ হচ্ছি না। আসলে যে ভাবে সকলে আমাদের সমর্থন করছেন, তা দেখে আমি আপ্লুত।”
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত, তার কেরিয়ারে বহুবার বিশ্বকে মুগ্ধ করেছেন। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসের হয়ে খেলে অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন এবং বহুবার গোল্ডেন বুট এবং ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন। তার অসাধারণ ফিটনেস এবং খেলোয়াড়ী দক্ষতা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ফুটবলের শীর্ষে রেখেছে।
রোনাল্ডোর এই সিদ্ধান্তে পর্তুগালের ফুটবল প্রেমীরা গভীরভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় কমিউনিটি এবং ফুটবল ভক্তরা রোনাল্ডোর প্রতি তাদের সমর্থন এবং ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রোনাল্ডো এবং তার মায়ের কান্নার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যা তাদের ভক্তদের আবেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভবিষ্যতে রোনাল্ডোর অনুপস্থিতি পর্তুগালের দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। তবে, রোনাল্ডোর অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্ব আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রেরণা যোগাবে। তার খেলার প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং কঠোর পরিশ্রমের মন্ত্র পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
খেলার মাঠে রোনাল্ডোর কান্না শুধু একটি ম্যাচের ফলাফলের কারণে নয়, বরং তার দীর্ঘ কেরিয়ারের শেষের কাছাকাছি এসে সেসব স্মৃতির ভিড় যা তাকে বারবার সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। রোনাল্ডো বলেন, “আমি এই দলের জন্য সবকিছু দিয়েছি। এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার সেরা মুহূর্তগুলি কেটেছে। আমি জানি এটা আমার শেষ ইউরো, কিন্তু আমি পর্তুগালের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব।”
রোনাল্ডোর এই ঘোষণা পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে বেশ কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, কেন রোনাল্ডো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী। তবে রোনাল্ডোর ভক্তরা জানেন, এই ফুটবল মহারথী নিজের এবং দলের সেরা স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই খবরের পর, পর্তুগালের ফুটবল ফেডারেশন রোনাল্ডোর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তারা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “রোনাল্ডো শুধু আমাদের দলের নয়, সমগ্র ফুটবল বিশ্বের এক অমূল্য সম্পদ। তার নেতৃত্ব এবং কৃতিত্ব আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
রোনাল্ডোর কেরিয়ার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তার মা বলেন, “আমি সবসময় জানতাম, রোনাল্ডো একদিন ফুটবলের ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখবে। আমি তার প্রতি গর্বিত।”
এই ঘটনার পর, রোনাল্ডোর ভক্তরা তাকে আরও বেশি সমর্থন দিচ্ছেন। তারা জানেন, তাদের প্রিয় তারকা সবসময় তাদের হৃদয়ে থাকবেন এবং তাদের স্মৃতিতে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর শেষ ইউরো কাপ নিয়ে এই আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ভবিষ্যতে অনেক আলোচনার জন্ম দিতে পারে। তার খেলার প্রতি নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতি সমস্ত ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।