Storms and rains forecast in the state again due to the influence of a low pressure area in the Bay of Bengal :বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ—এই শব্দটাই যেন এখন বাঙালির জীবনের এক চেনা আতঙ্ক। বর্ষার শেষে কিংবা শরতের আগে-পরে, যখন পুজোর আনন্দের প্রস্তুতি চলছে, তখনই এই নিম্নচাপের খবর যেন রাজ্যের মানুষের মনে উদ্বেগের সঞ্চার ঘটায়। গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে, যার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত, জলজট এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাও ঘটেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাম্প্রতিক নিম্নচাপটি শক্তি হারাতে শুরু করলেও এর প্রভাবে ফের দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের আকাশ ভারী হতে চলেছে।আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলেই নিম্নচাপটি উড়িষ্যা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। স্থলভাগে প্রবেশ করার পর এর শক্তি কিছুটা কমলেও, বায়ুমণ্ডলে থাকা জলীয় বাষ্প এবং পূর্ব দিকের বাতাসের কারণে এর প্রভাব এখনো অব্যাহত। আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে, মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামবে। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। শনিবার থেকেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। জলমগ্ন এলাকা বা নদীর ধার ঘেঁষে বসবাসকারী মানুষদের প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।