Heavy rains in South Bengal due to low pressure :দক্ষিণবঙ্গে ফের একবার আকাশ কালো করে এসেছে নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপের প্রভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ যেন আজ যেন এক চেনা ছবির পুনরাবৃত্তি—বৃষ্টির ধারা থামছেই না, ছাতা হাতে ছুটছে মানুষ, রাস্তাঘাট জলমগ্ন, কোথাও কোথাও আবার বাস-অটো বন্ধ, স্কুল-কলেজে হাজিরার সংখ্যা কম। একটানা এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শুধু সাধারণ জীবনকেই বিপর্যস্ত করেনি, তার প্রভাব পড়েছে কৃষি, মৎস্যজীবী, পরিবহন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কোণে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমী অক্ষরেখা বর্তমানে ঝাড়খণ্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর জেরেই দক্ষিণবঙ্গের উপর তৈরি হয়েছে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। যার কারণে বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে একটানা বৃষ্টি, আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই বৃষ্টি আরও বাড়ছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ—এইসব জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই ছিল, বাস্তবে তার প্রভাব এখন চোখে পড়ছে জলমগ্ন গলির মোড়ে, নাকাল অফিসযাত্রীদের মুখে।
কলকাতার একটি বেসরকারি অফিসে কর্মরত ঋতুপর্ণা দত্ত জানালেন, “সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আজ ১০টা ৩০-এ অফিসে পৌঁছেছি। বাস দাঁড়ায়নি, উবের বুক করতে গিয়ে দেখলাম সার্ভারই ডাউন, রাস্তা জলের তলায়। একটা বৃষ্টি এলেই কলকাতা থমকে যায়।” ঠিক একই সুরে ক্ষোভ ঝরেছে কসবার একটি অটোচালক অসীম মণ্ডলের গলায়, “বৃষ্টির দিনে আমাদের কামাই। গাড়ি চালালে ইঞ্জিন নষ্ট হবে, আর না চালালে খাই কি?”
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি থেকে শুরু করে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, কুলতলি অঞ্চলে জারি হয়েছে সতর্কতা।