Monday, June 9, 2025
Google search engine
Homeঅন্যান্য দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু'দিনে আরও বাড়বে তাপমাত্রা

 দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু’দিনে আরও বাড়বে তাপমাত্রা

Temperatures to rise further in South Bengal in the next two days:দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘ থাকলেও রোদের দাপট এতটাই যে সকাল নামলেই যেন আগুন ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে গরম ও অস্বস্তি চরমে পৌঁছেছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান — সব জেলাগুলিতেই দিনের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলছে। আর তার সঙ্গেই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকায় গরমে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দু’দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বর্ষার অনুকূল কোনও পরিবেশ নেই। মৌসুমি বায়ু এখনও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেনি। এর ফলে শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে, বর্ষার দেখা মিলবে না এখনই।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৫৭ থেকে ৯৪ শতাংশ। আজকের এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে পূর্বাভাস। তবে হালকা মেঘলা আকাশের মধ্যে কোনো কোনো স্থানে হঠাৎ করে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষত উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

শহরের রাস্তায় যাত্রী কমে গেছে, মানুষ সকাল ১১টার পর রাস্তায় নামা প্রায় বন্ধ রেখেছেন। হাওড়ার টোটোচালক মদন পালের কথায়, “রোদের মধ্যে ১৫ মিনিট টোটো চালালেই ঘাম ঝরছে লিটার লিটার। মাথা ঘুরছে। যাত্রীও কমে গেছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের গৃহবধূ রিঙ্কু সেন বলেন, “এসি ছাড়া কিছুতেই থাকা যাচ্ছে না। রান্নাঘরে দাঁড়ানো যায় না, গ্যাস জ্বালালেই ঘাম ভিজে যাচ্ছে। এই গরমে ছোট বাচ্চা, বয়স্কদের নিয়ে চিন্তায় আছি।”চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, এই সময়ে বেশি পরিমাণে জল খাওয়া, প্রয়োজন হলে ওআরএস পান করা, খোলা রোদে না বেরনো, ছাতা ব্যবহার এবং হালকা তুলোর পোশাক পরা জরুরি। হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, গ্যাস্ট্রো এবং স্কিন র‍্যাশের মতো সমস্যাগুলি এই সময়ে বেশি দেখা যায় বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।কৃষিকাজেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বীরভূম ও বাঁকুড়ার কৃষকরা বলছেন, “বৃষ্টির দেখা নেই, মাঠ শুকনো।

2Q==

বীজ ফেলবো কবে আর জল দেবে কে?” এক কৃষকের কথায়, “আগে আষাঢ়ের শুরুতেই একটু জল পড়তো, এখন জুন মাঝামাঝি আসছে, তাও চাষ শুরু করা যাচ্ছে না। ফসলের ক্ষতি হবে নিশ্চিত।”অন্যদিকে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে গরমের দাপটে দিনের বেলা রাস্তায় লোকজন প্রায় চোখে পড়ছে না। দোকানপাট খুললেও দুপুরের দিকে সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। স্কুলপড়ুয়াদেরও সমস্যা হচ্ছে, ক্লাসে গরমে পড়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেক অভিভাবকের।আবহাওয়াবিদদের মতে, এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই দিন চলবে। এর পরে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পথ প্রশস্ত করতে পারে। তবে তাতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। সেই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের মানুষের গরমে হাঁসফাঁস চালিয়ে যেতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments