Darwin’s theory of evolution is wrong! Sensational claim by Chinese scientists: বিজ্ঞান জগতে এক অভূতপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে চিনা বিজ্ঞানীদের এক সাম্প্রতিক গবেষণায়, যেখানে তাঁরা চার্লস ডারউইনের সুপ্রতিষ্ঠিত বিবর্তন তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছেন যে, অর্জিত বৈশিষ্ট্যও উত্তরাধিকারসূত্রে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হতে পারে। এই গবেষণাটি সম্প্রতি ‘সেল’ (Cell) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।চীনের জেনেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই গবেষণায় ধান গাছের উপর ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে, ঠান্ডা পরিবেশে বেড়ে ওঠা ধান গাছগুলি পরবর্তী প্রজন্মেও ঠান্ডা সহনশীলতা প্রদর্শন করছে, যদিও তাদের ডিএনএ সিকোয়েন্সে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এই ঘটনা ডিএনএ মিথাইলেশন নামক একটি এপিজেনেটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটছে, যা জিনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পরিবেশে ধান গাছের ACT1 নামক একটি জিনের প্রোমোটার অঞ্চলে মিথাইলেশন কমে যায়, যার ফলে এই জিনটি সক্রিয় হয়ে ঠান্ডা সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এই পরিবর্তনটি পরবর্তী প্রজন্মেও বজায় থাকে, যদিও ডিএনএ সিকোয়েন্স অপরিবর্তিত থাকে। এই আবিষ্কার ১৯শ শতকের ফরাসি জীববিজ্ঞানী জঁ-বাতিস্ত লামার্কের তত্ত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে, জীবেরা তাদের জীবদ্দশায় অর্জিত বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত করতে পারে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক প্রফেসর কাও শিয়াওফেং বলেন, “আমরা দেখিয়েছি যে, পরিবেশগত চাপের ফলে সৃষ্ট এপিজেনেটিক পরিবর্তন উত্তরাধিকারসূত্রে সঞ্চারিত হতে পারে, যা লামার্কের তত্ত্বকে সমর্থন করে।” এই গবেষণার ফলাফল কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম ফসলের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই গবেষণা বিবর্তন তত্ত্বের উপর আমাদের বোঝাপড়ায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি দেখিয়েছে যে, পরিবেশগত প্রভাব শুধুমাত্র জীবের আচরণ নয়, তাদের জিনের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করতে পারে, এবং এই পরিবর্তনগুলি পরবর্তী প্রজন্মেও সঞ্চারিত হতে পারে।এই গবেষণার ফলাফল ভবিষ্যতে কৃষি, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং মানব স্বাস্থ্য গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি আমাদের বোঝাতে সাহায্য করে যে, জীবের পরিবেশগত অভিজ্ঞতা কেবল তাদের জীবদ্দশায় নয়, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
এই গবেষণার মাধ্যমে, চিনা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, বিবর্তন শুধুমাত্র জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে নয়, এপিজেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, যা আমাদের বিবর্তন তত্ত্বের উপর নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করছে।