If the leader is happy the gate will pass: লিমিট ক্রস করবেন না, লিমিট ক্রস করলে খেসারত দিতে হবে, তখন কিন্তু কান্নাকাটি করবেন না!”—এই কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত জেলা স্তরের শিল্প সমন্বয় বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী, প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট কারখানার কর্তৃপক্ষদের নিয়ে এই বৈঠক হয়।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারখানায় নিয়োগ হবে কর্মসংস্থান পোর্টালের মাধ্যমে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কেউ বা তৃণমূলের কোনো নেতা যদি নিয়োগের ব্যাপারে সুপারিশ করতে যায়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “নেতা খুশি হলে গেট পাশ দেবে—এই সংস্কৃতি চলবে না।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, “আমরা চাই, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হোক।”
বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য নেতারাও এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “আমরা চাই, কর্মসংস্থানের সুযোগ সবার জন্য সমান হোক।” বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।”
এই বৈঠকের পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, “এই ধরনের সতর্কবার্তা প্রয়োজন ছিল।” আবার কেউ কেউ বলেন, “দেখা যাক, বাস্তবে কতটা কার্যকর হয়।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বক্তব্য প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। তারা বলেন, “যদি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে।”
এই বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তারা চান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সবার জন্য সমান হোক এবং কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকুক।

এই বৈঠকের ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে বলা যায়, যদি এই সতর্কবার্তা বাস্তবে কার্যকর হয়, তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে এবং সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে। তবে, যদি এটি শুধুমাত্র কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে।
আমরা আশা করি, এই বৈঠকের মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবে কার্যকর হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।