Local ambient songs with hot summer : গ্রীষ্মের দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে গোটা বাংলা, আর সেই সঙ্গে আকাশে জমছে মেঘের দল। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রূকুটি রাজ্যের আবহাওয়ায় নতুন মোড় এনেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে, যার প্রভাবে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে, বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
সপ্তাহজুড়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় সোমবার ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরের আট জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই সময়ে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় না থাকা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকা এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা উচিত। এছাড়াও, বজ্র নিরোধক দণ্ড বা লাইটনিং কন্ডাক্টর ব্যবহার করে বাড়ি ও ভবনগুলোকে সুরক্ষিত রাখা যেতে পারে।
গরমের এই সময়ে হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, কারণ উচ্চ তাপমাত্রা হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। ডাঃ আশিস মিত্র জানিয়েছেন, এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান, হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরা, সূর্যের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণ করে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
আবহাওয়ার এই পরিবর্তন কৃষকদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছে, কারণ বৃষ্টির ফলে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ হবে। তবে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা ও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে।
এই সময়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নেওয়া উচিত, কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে সমস্যা হতে পারে। আবহাওয়ার এই রঙিন পালা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলছে, তাই সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে চলা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।