Saturday, July 5, 2025
Google search engine
Homeরাজনীতিঅন্যানো রাজনীতিহোয়াইট হাউসে দুই প্রাক্তন জেহাদি, তুমুল বিতর্ক

হোয়াইট হাউসে দুই প্রাক্তন জেহাদি, তুমুল বিতর্ক

Two former jihadists in the White House : আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে গঠিত ধর্মীয় উপদেষ্টা বোর্ডে দুই প্রাক্তন জেহাদির নাম জড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা, সমালোচনা ও উদ্বেগ। অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা একসময় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরই কীভাবে হোয়াইট হাউসের মতো একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক গঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হলো?সামাজিক মাধ্যমে এই খবর প্রথম ছড়িয়ে পড়ে লরা লুমার নামক এক মার্কিন কনজারভেটিভ সাংবাদিকের পোস্টের মাধ্যমে। তিনি দাবি করেন, হোয়াইট হাউসের ধর্মীয় উপদেষ্টা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ইসমাইল রোয়ারশেখ হামজা ইউসুফ, যাঁদের অতীত ঘিরে রয়েছে ভয়ানক অভিযোগ।

ইসমাইল রোয়ার সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তিনি পাকিস্তানের berüchtigte সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা‘র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এমনকি কাশ্মীর উপত্যকায় হামলার ক্ষেত্রেও তাঁর নাম অভিযুক্তদের তালিকায় ছিল বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। অপরদিকে, শেখ হামজা ইউসুফকে ঘিরে দাবি করা হয়েছে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামপন্থী চরমপন্থী সংগঠন হামাস-এর সঙ্গে এক সময়ে যুক্ত ছিলেন। যদিও এই অভিযোগের প্রামাণ্য তথ্য সামনে আসেনি, তবুও এমন একজন ব্যক্তি যিনি কখনও একাধিক উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীর প্রশংসা করেছিলেন, তাঁর নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন প্রশাসনের উপর আস্থা নিয়ে।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তো বটেই, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। “জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রাক্তন সদস্যরা যদি হোয়াইট হাউসে পরামর্শদাতা হন, তাহলে আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান কতটা বিশ্বাসযোগ্য?”—এই প্রশ্ন এখন প্রতিটি সংবাদমাধ্যম, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের আলোচ্য বিষয়।

2Q==

হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, শেখ ইউসুফ বর্তমানে জায়তুনা কলেজ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, যিনি আমেরিকায় ইসলামি চিন্তাধারার আধুনিকীকরণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। একইভাবে ইসমাইল রোয়ারের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে, তিনি বর্তমানে একটি ইসলামিক সিভিক অর্গানাইজেশনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন এবং অতীতে উগ্রবাদী চিন্তাভাবনা থেকে সরে এসে মূলধারার সমাজে অবদান রাখছেন।তবে এত ব্যাখ্যার পরেও বিতর্ক থামছে না। কারণ সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস বা সংশ্লিষ্টতা থাকা কারও নাম যদি দেশের নীতিনির্ধারক বোর্ডে উঠে আসে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে—“তবে কি আমেরিকাও এখন স্বার্থের জন্য চরমপন্থীদের ব্যবহার করছে?”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments