Hey, Trinamool, life is empty with the Madrasa symbol : বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট, তার আগে মাদারপাড়া হাই মাদ্রাসা ভোটে ব্যাপক জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। মথুরাপুরের এই অঞ্চলে রবিবার অনুষ্ঠিত হাই মাদ্রাসা ভোটে মোট ১২০০ ভোটারের মধ্যে ৮৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৬০০ ভোট এবং সিপিআইএম-আইএসএফ জোট পেয়েছে ২৪২ ভোট। এই ফলাফল তৃণমূলের জন্য এক বিশাল সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাদারপাড়া হাই মাদ্রাসা ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল এই এলাকা। রবিবারের ভোটে তৃণমূলের ৬ জন প্রার্থীই বিপুল ভোটে জয়ী হন। সিপিআইএম ও আইএসএফ মিলে ৬ জন প্রার্থী দিয়েছিল।
মথুরাপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানবেন্দ্র হালদার বলেন, “২৬ বিধানসভা ভোটের রেজাল্ট এই মাদারপাড়া হাই মাদ্রাসা ভোটে তা এলাকার মানুষ দিয়ে দিয়েছে। মূলত তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন দেখে ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা দেখে এলাকার মানুষ বিপুল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জয়লাভ করিয়েছে।”
জয়ী প্রার্থীরাও জানান, “তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখে জনগণ ভোট দিয়ে জয়লাভ করেছে আমাদেরকে। মাদ্রাসায় উন্নয়নের কাজ করব।”
এই ভোটে তৃণমূলের সাফল্য কেবলমাত্র স্থানীয় নির্বাচনে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্যও এক বড় বার্তা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই জয় তৃণমূলের জন্য মনোবল বৃদ্ধির এক নতুন অধ্যায়। কারণ, বিরোধীদের যে সামগ্রিক ভাবে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা গেছে এই ভোটে।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে যে, মাদ্রাসা ভোটে জিতলেও তারা এখানেই থেমে থাকবে না। এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির দিকে আরও নজর দেওয়া হবে।
বিরোধীদের জন্য এই ফলাফল যথেষ্ট অস্বস্তিকর। সিপিআইএম এবং আইএসএফ প্রার্থীরা এই পরাজয়ের পর পুনরায় কৌশল নির্ধারণের কথা ভাবছেন। তাদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোটে প্রভাব বিস্তার করেছে। সিপিআইএমের প্রার্থী আব্দুল খালেক বলেন, “এটি কোনো সাধারণ ভোট ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেসের একচেটিয়া প্রভাব ছিল। আমরা জনগণের রায়কে সম্মান জানাচ্ছি, তবে আগামী দিনে আমরা আরও সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করব।”
আইএসএফ প্রার্থী মহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস উন্নয়নের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা জনমতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াব।”

এই ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাকিল আহমেদ বলেন, “ভোটে যে দলেরই জয় হোক না কেন, আমাদের মূল লক্ষ্য মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়ন। আমরা আশা করছি, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।”
এই ফলাফলকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কিছু মানুষ তৃণমূলের জয়ে উচ্ছ্বসিত। তারা মনে করছেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে থেকে যেমন উন্নয়ন করেছে, ঠিক তেমনই আগামী দিনেও তারা আরও উন্নয়ন করবে। অপরদিকে, বিরোধী সমর্থকেরা এই ফলাফল নিয়ে হতাশ। তাদের মতে, প্রশাসনিক শক্তি এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে এই ভোটে তাদের পরাজয় ঘটেছে।
সামনে বিধানসভা ভোট। এই জয় কি তৃণমূলের জন্য আশীর্বাদ, না কি বিরোধীদের জন্য নতুন কৌশল গ্রহণের প্রেরণা হয়ে উঠবে, তা এখন দেখার।