‘If India retreats, we will also stop’, Pakistan softens tone after Indian attack:-এই মুহূর্তের বড় খবর, অপারেশন সিন্দুরের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ভারতের কঠোর প্রতিক্রিয়ার পর সুর নরম করে জানিয়েছেন, ‘ভারত যদি পিছু হটে, আমরাও থামতে প্রস্তুত।’ অপারেশন সিন্দুরে ভারতের কৌশলগত আক্রমণে পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনের ৮০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি।খোয়াজা আসিফের সাম্প্রতিক মন্তব্যের আগে তাঁর অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ভারত যদি আমাদের এক ইঞ্চি জমিও দখল করার চেষ্টা করে, সেটা হবে তাদের জন্য চরম ভুল। আমরা সম্পূর্ণ শক্তিতে জবাব দেব।’ কিন্তু ভারতের সামরিক অভিযানের পরেই তাঁর অবস্থানে এই নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতির সূচনা ভারত করেছে। আমরা শুরু করিনি, কেবল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।’
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অপারেশন সিন্দুর ছিল অত্যন্ত কৌশলগত এবং সুনির্দিষ্ট। মাত্র ২৫ মিনিটের এই অভিযানে ভারত একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান বুঝতে পারছে ভারতের এই সামরিক পদক্ষেপকে পাত্তা না দিলে, তাদের উপর চাপ আরও বাড়বে। তাই তারা এখন আপোসের সুরে কথা বলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলেও এই ঘটনাকে ঘিরে চরম তোলপাড় চলছে। পাক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরও উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে কিনেটিক ও কূটনৈতিক।’ তবে এই প্রতিক্রিয়া ঠিক কীভাবে এবং কবে আসবে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘আমরা কখনই প্রথম আক্রমণ করি না। কিন্তু কেউ আমাদের আঘাত করলে, আমরা তাত্ক্ষণিক এবং শক্তিশালী জবাব দেব।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অপারেশন সিন্দুরে আমাদের সেনারা তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে, সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেওয়া মানে নিজেদের বিপদ ডেকে আনা।’এই ঘটনার পর দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলিতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত এবং অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এই টানাপোড়েন কতদিন চলবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে পাকিস্তান যদি সত্যিই ‘পিছু হটে’, তবে সাময়িকভাবে হলেও উত্তেজনা কমতে পারে।