War is the post of abduction at ISI headquarters : যুদ্ধের আবহে ISI সদর দফতরে জরুরি বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব। এই বৈঠকে মূলত ভারতের ‘আগ্রাসী অবস্থান’ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। ISI-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে, এবং ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জাতীয় সতর্কতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা বাজেট ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে প্রতিরক্ষায় খরচ ধরা হয়েছে ₹২.৫ ট্রিলিয়নেরও বেশি। এই বাজেট বৃদ্ধিতে একমত হয়েছে শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন সরকার ও শরিক দল পিপিপি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জবাব হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব রাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি ও ISI সদর দফতরে এই জরুরি বৈঠক একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি এবং সীমান্তে ভারতীয় সেনার তৎপরতা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে ‘রক্ষণাত্মক কৌশল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এক প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি ও সামরিক কার্যক্রমের জবাব দিতেই পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, “ভারত তার সীমান্ত রক্ষায় সর্বদা সতর্ক। তবে কোনো ধরনের আগ্রাসী পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।”
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। পাক-ভারত সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে। বিশেষত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে প্রতিনিয়ত সেনা টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। সামরিক কৌশল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানের এই বাজেট বৃদ্ধি ও ISI সদর দফতরে বৈঠক আসন্ন কোনো বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিতও হতে পারে।