‘I want to die too’ says Masood Azhar in despair over family’s deaths : ভারতের অপারেশন সিঁদুরে ১০ জন আত্মীয় ও ৪ জন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। ‘আমিও যদি মরতাম, ভালো হতো…’ বললেন মাসুদ আজহার। পাহলগামের রক্তস্নানের পাল্টা জবাবে ভারতীয় বাহিনীর ক্ষিপ্র আঘাতে কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে মাসুদের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত। বাহাওয়ালপুরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মুহূর্তে শেষ একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি।
সূত্রের খবর, এই হামলার মানসিক ধাক্কা সামলাতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত মাসুদ আজহার নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে এই বক্তব্য রেখেছে। তার মুখ থেকে নিঃসৃত এই কথাগুলি আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক। প্রতিটি অশ্রু ফিরেছে গুলি হয়ে, মাসুদের সাম্রাজ্যের বুকে।
এই অপারেশন সিঁদুর ছিল ভারতীয় সেনার অন্যতম সফল অভিযান। প্রতিটি হামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাসুদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা ছিল জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। পাহলগাম হামলায় ভারতীয় সেনা প্রায় ২০ জন জঙ্গিকে খতম করে। এর মধ্যে অন্তত ১০ জন ছিল মাসুদের পারিবারিক সদস্য। এই হামলার পরই মাসুদ আজহার পুরোপুরি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
বাহাওয়ালপুরে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে মাসুদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঘাঁটি। জইশ-ই-মহম্মদের এই ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হত একাধিক আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা। কিন্তু এখন সেটি শুধুই ধ্বংসস্তূপ। এই পরিস্থিতিতে মাসুদের মনোবল কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের সদস্যদের হারানোর শোক সইতে না পেরে মাসুদ আজহার নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে একাধিকবার আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, মাসুদের মানসিক অবস্থা এখন অত্যন্ত নাজুক। এই মুহূর্তে তার মানসিক দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তাকে জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জানিয়েছেন, ‘এই অভিযান ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কড়া বার্তা। আমরা প্রমাণ করেছি, ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তার জবাব আমরা উপযুক্তভাবেই দেব।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল বলছে, মাসুদের এই মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারত আরও বড়ো ধরনের হামলা চালাতে পারে। করাচির এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, ‘ভারত এখন নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে। মাসুদের এই ভাঙা মানসিক অবস্থা ভারতকে আরও আগ্রাসী করে তুলবে।’
মাসুদ আজহারের এই হতাশার মধ্যে আরও একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে – জইশ-ই-মহম্মদের ভবিষ্যৎ কী? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সংগঠনের বাকি নেতারাও এখন নিজেদের জীবন নিয়ে আতঙ্কিত। এমনকি অনেকেই নাকি এখন পালানোর পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যেই মাসুদের ‘মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা’ তাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে।