14 members of Masood Azhar’s family killed in Operation Sindoor: মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযানে ভারত কার্যত কাঁপিয়ে দিল পাকিস্তানকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই গোপন অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রউফ আসগর। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিংহ যৌথভাবে এই হামলার বিশদ বিবরণ দেন।
‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল সম্পূর্ণরূপে সামরিক ও সুনির্দিষ্ট। বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এই অভিযান ছিল পরিমিত, দায়িত্বপূর্ণ, এবং সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ অ-উসকানিমূলক।” তাঁর মতে, “পাহলগামে সাম্প্রতিক হামলার পর পাকিস্তান কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং বারবার অস্বীকার ও ভিত্তিহীন অভিযোগই শুনতে হয়েছে।”এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে অবস্থিত জইশ ও লস্কর ঘাঁটি। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, এই ঘাঁটিগুলোতে নতুন করে হামলার ছক কষা হচ্ছিল। তাই, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরিকল্পনা করে।
এই হামলায় নিহতদের মধ্যে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ জন সদস্য রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, রউফ আসগর গুরুতর আহত হলেও তার অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। মিশনের সময় শুধুমাত্র প্রিসাইস গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিংহের কথায়, “আমাদের লক্ষ্য ছিল সুনির্দিষ্ট। কোনও সাধারণ মানুষ বা অসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত করা হয়নি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল জইশের প্রধান ঘাঁটিগুলো, যেখানে সন্ত্রাসীদের পুনরায় সক্রিয় করা হচ্ছিল।”এই অভিযানের ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে পৌঁছাতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে অভিযোগ জানিয়েছে। তবে ভারত সরকার এই অভিযানের সপক্ষে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে।এদিকে, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ভারতীয় সেনা চূড়ান্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।