240 million Pakistanis at risk from India’s ‘water war’, Islamabad complains to UN: পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের জীবনরেখা সিন্ধু নদীর জল। এই নদীর উপর নির্ভর করে কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। কিন্তু ২২ এপ্রিল ২০২৫-এ কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে। এই সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে জলসংকট দেখা দিয়েছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ভারতের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে, পাকিস্তানকে আর জল দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। আমরা আমাদের অধিকার অনুযায়ী জল ব্যবহার করব।”পাকিস্তানের বিরোধী নেতা আলি জাফর বলেন, “এই পরিস্থিতি যদি এখনই সমাধান না হয়, তাহলে পাকিস্তানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।”রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনী হরিশ বলেন, “সিন্ধু চুক্তি ছিল বিশ্বাসের চুক্তি। পাকিস্তান সেই বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। ভারতকে সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে বারবার।”ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়েছেন, “সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না হলে চুক্তি স্থগিতই থাকবে।”পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চুক্তি স্থগিতের ফলে কৃষি জল সরবরাহে তাত্ক্ষণিক প্রভাব পড়বে না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলচুক্তি স্থগিতের ফলে পাকিস্তানের কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে। এছাড়া, জলসংকটের ফলে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, যেটি এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ছিল, তাদের উচিত দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।

সিন্ধু জলচুক্তি ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের পূর্বাঞ্চলের নদীগুলির জল ব্যবহারের অধিকার ছিল, আর পাকিস্তানের ছিল পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলির জল ব্যবহারের অধিকার।বর্তমানে, ভারতের সিদ্ধান্তে এই চুক্তি স্থগিত রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বড় জলসংকট দেখা দিতে পারে।