2,000 candidates did not take the exam despite paying for the tablet : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে দেওয়া হয়েছিল ট্যাব। কিন্তু এই ট্যাব নিয়েও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ২০০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেনি, যা নিয়ে জেলায় তৈরি হয়েছে তীব্র চর্চা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই বছর মোট ৩২,২৪৮ জন পরীক্ষার্থী ট্যাব নিয়েছে, কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মাত্র ৩০,২৫৭ জন। ফলে প্রায় ২ হাজার ছাত্রছাত্রী ট্যাব নেওয়ার পরেও পরীক্ষায় বসেনি।
এই সংখ্যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যেই দুই ধরনের মতামত উঠে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি জানিয়েছেন, “আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে ২০০ থেকে ৩০০ জন পরীক্ষায় বসেনি। এর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আগেও দেখেছি, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশি বসছে। অনেক ছেলেই হয়তো বিভিন্ন কাজে চলে যাচ্ছে। এটি একটি নতুন প্রবণতা।”অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য একেবারে ভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের হিসেব বলছে, প্রায় ২০০০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। ট্যাব নেওয়ার পর অনেকেই হয়তো পড়াশোনা ছেড়েছে। এটি চিন্তার বিষয়।”
এই ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়েছে। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইত বলেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকার প্রকল্প চালু করলেও, তার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না। ট্যাব নেওয়ার জন্য যে পড়ুয়ারা স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, তারাই শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসলো না। অর্থাৎ, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ।”অনেকে বলছেন, যদি ছাত্রছাত্রীরা ট্যাব নেওয়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, তবে এটি শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। সরকার যদি শুধু ট্যাব বিলির ওপর গুরুত্ব না দিয়ে সঠিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করত, তবে হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।