2 caught with car written by police in Asansol: আসানসোল শহরের দক্ষিণ থানার পুলিশ ফাঁড়ি আজ বিকেলে একটি সন্দেহজনক গাড়ি আটক করে, যার সামনে বড় অক্ষরে লেখা ছিল “পুলিশ।” ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের বিএনআর মোড় সংলগ্ন কফি হাউসের কাছে, যেখানে বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ খবর পেয়ে চারচাকা গাড়িটিকে থামানোর ব্যবস্থা করে। গাড়ির মধ্যে থাকা দুই ব্যক্তি পুলিশের চোখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, তাদেরও আটক করা হয় এবং দক্ষিণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ কেন তাদের নিজস্ব গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়িতে ‘পুলিশ’ লেখা ব্যবহার করছে, তা জানতে তদন্তে নেমেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ফাঁড়ি। সূত্রের খবর, এই গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তির পরিচয় এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। তবে, তারা আদৌ পুলিশকর্মী কি না, এবং গাড়িতে পুলিশ লেখা থাকার উদ্দেশ্য কী, সেই বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, “আসানসোলে এমন একটি ঘটনা দেখে আমরা ভয় পেয়ে গেছি। যদি কেউ পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়, তবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। পুলিশের উচিত এই ধরনের ঘটনা আরও সতর্কভাবে দেখা।” নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারাও মনে করেন, পুলিশ গাড়ির মতো চিহ্ন ব্যবহারের কারণে অপরাধীরা সহজেই সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে পারে, যা আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নির্দেশে এখন কড়া তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের সন্দেহ হচ্ছে যে এই গাড়ি এবং এই দুজন হয়ত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করছে। কমিশনারেটের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোনোভাবেই এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না।”
এই ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন ভবিষ্যতে এমন ভুয়ো গাড়ি এবং পুলিশের নাম ব্যবহার করে কারওরও যেন প্রতারণামূলক কাজ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সচেতন হবে। এছাড়াও, পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে বলা হয়েছে এবং যদি কেউ এই ধরনের সন্দেহজনক গাড়ি দেখে, তবে তা দ্রুত পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে আসানসোল সহ গোটা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত, এমন একটি গাড়ি যার সামনে বড় অক্ষরে “পুলিশ” লেখা থাকলেও সেটির সাথে প্রকৃত পুলিশের কোনো সম্পর্ক না থাকলে, সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন কোনটি আসল আর কোনটি ভুয়ো? এটি সবার জন্য একটি চিন্তার বিষয়।
সবমিলিয়ে, আসানসোলের এই ঘটনা শুধু শহরের নিরাপত্তার উপরেই নয়, গোটা এলাকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাবোধেও বড় প্রভাব ফেলেছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন থাকলেও, এ ধরনের প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করা কেউ যেন ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন।