...
Thursday, April 3, 2025
Google search engine
Homeপশ্চিমবঙ্গদুর্গাপুরদুর্গাপুরে ৫ কেজি আফিম সহ গ্রেপ্তার ১

দুর্গাপুরে ৫ কেজি আফিম সহ গ্রেপ্তার ১

1 arrested with 5 kg of opium in Durgapur:রাজ্য এসটিএফের হাতে ৫ কেজি আফিম সহ গ্রেপ্তার ১। মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে। ধৃত যুবকের নাম শেখ ইয়াম্মুদিন। বীরভূমের দুবরাজপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। বাজেয়াপ্ত করা হলো ৫ কেজি আফিম।এসটিএফসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার চার্চের সামনে একটি চারচাকা গাড়িতে শেখ ইয়ামুদ্দিন আরেকজনকে আফিম পাচার করার জন্য গাড়ি নিয়ে দাঁড়ায়। এসটিএফ এর কাছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এস টি এফ পৌঁছাতেই হানা দেওয়া হয়। আফিম সহ ইয়ামুদ্দিনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫ কেজি আফিম। ধৃত যুবক ঝাড়খন্ড থেকে আফিম নিয়ে এসে এ রাজ্যে পাচার করত। ধৃতকে দুর্গাপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এস টি এফ । শুক্রবার মাদক মামলায় ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়।

1606309024 5fbe54a02c37c two arrested for drugs cultivation

দুর্গাপুরে রাজ্য এসটিএফের হাতে ধরা পড়ল মাদক পাচারচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার চার্চের সামনে থেকে শেখ ইয়ামুদ্দিন নামে এক যুবককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে রাজ্য এসটিএফ। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫ কেজি আফিম, যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ধৃত শেখ ইয়ামুদ্দিন বীরভূমের দুবরাজপুর থানা এলাকার বাসিন্দা।
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সিটি সেন্টার চার্চের সামনে একটি চারচাকা গাড়িতে অভিযান চালায় এসটিএফের একটি দল। সেসময় ইয়ামুদ্দিন এবং তার সহযোগী গাড়িতে বসে ছিল। অভিযোগ, তারা ঝাড়খণ্ড থেকে আফিম নিয়ে এ রাজ্যে পাচার করছিল। হানার সময় ইয়ামুদ্দিনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫ কেজি আফিম। যদিও তার সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ধৃত যুবককে দুর্গাপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং শুক্রবার তাকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়। মাদক মামলায় তাকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ঝাড়খণ্ড থেকে আফিম এনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় তা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিল ইয়ামুদ্দিন। তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশায় তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।


এই ঘটনার পর দুর্গাপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাবতেও পারিনি আমাদের এত কাছেই এমন ভয়ঙ্কর মাদক কারবার চলছে। পুলিশের এই অভিযানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসন আরও কড়া নজরদারির আশ্বাস দিয়েছে। দুর্গাপুরের এক সমাজকর্মী জানিয়েছেন, “এই ধরনের ঘটনা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মাদকের প্রভাব আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে, এটি রুখতেই হবে।”
এই ঘটনাটি শুধু দুর্গাপুর নয়, গোটা রাজ্যের মাদক চক্রের ওপর একটি বড় আঘাত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঝাড়খণ্ড থেকে মাদক এনে পশ্চিমবঙ্গে তা ছড়িয়ে দেওয়ার এই চক্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের কাছ থেকে মাদক পাচার চক্রের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় অভিযানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
মাদক পাচারের মতো ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশের এই সক্রিয় পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এই ঘটনাটি একটি বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে—আমাদের সমাজে মাদকের প্রভাব কবে শেষ হবে? স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষকে এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে শুধু পুলিশি পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সচেতনতা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.