বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর এবার বড়পর্দায় নাগিনের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদী এই সুখবরটি ঘোষণা করেছেন। মকর সংক্রান্তির শুভদিনে ইনস্টাগ্রামে তিনি ছবির স্ক্রিপ্টের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবির স্ক্রিপ্টের পাশে দেখা গিয়েছে একটি পিতলের ঘটি এবং কিছু ফুল, যা দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল এবং উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নিখিল লিখেছেন, “মকর সংক্রান্তি এবং অবশেষে।” তাঁর এই পোস্টে ছবির শ্যুটিং শীঘ্রই শুরু হওয়ার আভাস মিলেছে।শ্রদ্ধা কাপুর নিজেও এই প্রজেক্টটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি জানান, “এটি আমার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। ভারতীয় লোককথার সঙ্গে জড়িত এমন একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে বিশাল সম্মানের। নাগিন চরিত্রটি শুধুমাত্র পৌরাণিক বা কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়, এটি প্রেম, ত্যাগ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির এক গভীর প্রতিচ্ছবি।”
এই ছবির পরিকল্পনা প্রথমবার ২০২০ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে মহামারী এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে শ্যুটিং শুরু করতে দেরি হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর অবশেষে প্রজেক্টটি নতুন উদ্যমে শুরু হতে চলেছে। প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদী জানিয়েছেন, “এই ছবিটি ভারতীয় লোককথা এবং পৌরাণিক কাহিনির উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যেখানে এক প্রেমময় নাগিনের গল্প দেখানো হবে। এটি হবে এমন একটি ছবি, যা ভারতীয় দর্শকদের আবেগ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।”
নাগিন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রদ্ধা কাপুর ইতিমধ্যেই শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, শ্রদ্ধা শ্যুটিং শুরুর আগে বিশেষ নাচ এবং অভিনয় প্রশিক্ষণ নেবেন। এই চরিত্রে তাঁকে সাপের গতিবিধি এবং শরীরের ভঙ্গিমা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। শ্রদ্ধা বলেছেন, “আমি চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এই চরিত্রের জন্য আমি আমার সেরা পারফর্ম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করব।”
ছবিটির মূল গল্পটি একটি নাগিনের প্রেম এবং ত্যাগের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি ভারতীয় পুরাণ এবং লোককথার অনুপ্রেরণায় নির্মিত। জানা গিয়েছে, ছবিতে উচ্চমানের ভিএফএক্স এবং সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহার করা হবে।দর্শকদের মধ্যে ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এক অনুরাগী লিখেছেন, “শ্রদ্ধাকে নাগিন হিসেবে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না। তিনি এই চরিত্রে দুর্দান্ত মানাবে।” আরেকজন বলেন, “ভারতীয় পৌরাণিক চরিত্রগুলো নিয়ে বলিউড আরও কাজ করছে, এটি খুবই আনন্দের।”
নাগিন চরিত্র বলিউডে নতুন কিছু নয়। আগেও রেখা, শ্রীদেবী, এবং রিনি জয়েসের মতো অভিনেত্রীরা নাগিনের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তবে আধুনিক প্রেক্ষাপটে শ্রদ্ধার এই চরিত্রে নতুনত্ব এবং আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া দর্শকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ছবির সফলতা ভারতীয় লোককথা ভিত্তিক ছবির জন্য বলিউডে নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। প্রযোজক এবং নির্মাতারা মনে করছেন, ছবিটি দেশ-বিদেশের দর্শকদের কাছে ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরতা তুলে ধরতে পারবে।
শ্রদ্ধা কাপুরের নাগিন চরিত্রে অভিনয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বলিউডে এবং দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। পৌরাণিক কাহিনি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই ছবি শুধুমাত্র একটি বিনোদনমূলক প্রজেক্ট নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অসাধারণ উপস্থাপনা হতে চলেছে। এখন শুধু অপেক্ষা, এই ছবির মুক্তির জন্য।